OrdinaryITPostAd

কবুতরের ফাঁস চাঙ্গি বানানোর সহজ উপায়

কবুতর এর রোগ ও চিকিৎসা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কবুতরের রোগ সময়ের উপর নির্ভর করে হয়ে থাকে।আজকে আমরা এই পোস্টে কবুতরের সকল রোগের চিকিৎসা সম্পর্কে বিস্তারিত জানানোর চেষ্টা করবো। 

কবুতরের ফাঁস চাঙ্গি বানানোর সহজ উপায়। সম্পর্কে আপনাদেরকে জানাবো। কবুতর প্রেমিকরা অনেকেই ফাঁস চাঙ্গি পছন্দ করে থাকে। আজকে আমরা এই পোস্ট এ ফাঁস চাঙ্গি বানানোর উপায় সম্পকে বিস্তারিত আলচনা করবো।

পোস্ট সূচিপত্র : কবুতরের ফাঁস চাঙ্গি বানানোর সহজ উপায় 

কবুতর রোগ ও চিকিৎসা 

কবুতর রোগ ও চিকিৎসা কবুতরের নানা কারণে রোগ হয়ে থাকে। তার মধ্যে অন্যতম কারণ হলো কবুতরের পুষ্টি উপাদান এর ঘাটতি অভাব ও নিয়মিত সুচিকিৎসা না নেওয়ার কারণ। সাধারণত কবুতর সূক্ষ্ম ও ঠান্ডা পরিবেশে থাকতে পছন্দ করে।কবুতরের চিকিৎসা ওসুস্থ রাখার খাবার নিয়ে আলোচনা করব। 

যে খাবার খেয়ে কবুতর রোগ নির্ণয় করা যায়। শীতকালে কবুতরের বেশি রোগব্যাধি হয়ে থাকে। এজন্য কবুতরের ঘর শুকনো ও পরিষ্কার রাখতে হবে,কবুতর ঘর বাতাস মুক্ত রাখতে হবে। কবুতরের ঘর রাতে বদ্ধ করার সময় ঘর থেকে খাবার পানি বের করে নিতে হবে।

কবুতরের ফাঁস চাঙ্গি বানানোর সহজ উপায় 

কবুতরের ফাঁস চাঙ্গি বানানোর সহজ উপায়। কবুতরের ফাঁস চাঙ্গি বানানোর জন্য যেগুলোর প্রয়োজন হবে তা হলো, প্রথমে বাতা দিয়ে আয়তাকার একটি মাচান বানাতে হবে, তারপর বাতা,কটের নেট, কট সুতা, এবং দুইটা গোল বালার প্রয়োজন হয়।

এগুলো দ্বারা একটি ফাঁস চাঙ্গি বানানো সম্ভব। ফাঁস চাঙ্গি বানাতে হলে যা যা জিনিসপত্র প্রয়োজন সেগুলো জোগাড় করার পর। মাচানের দুই প্রান্তে দুটি বাতা দাঁড়া বানতে হবে, অবশ্যই বাতাতে নেট ভরতে হবে। তারপর মাচানে তুই পাশে বাতা বানতে হবে এবং তার নিচে দুই পাশে দুইটা বালা বানতে হবে। যাতে করে চাঙ্গি মারা হয়।

চাঙ্গি বানানো কমপ্লিট হয়ে গেলে একটি গোটা বাস এর আগাই চাঙ্গি বাঁধতে হবে। এবং দুই পাশে ঝুলানো কমচির আগায় সুতা বেঁধে বালার ভেতর দিয়ে প্রবেশ করাই সমানভাবে ভাগটা তৈরি করে নেব। ভাগের সাথে বাসের সমপরিমাণ যত বড় সুতা প্রয়োজন হয় তত বড় সুতা ঝুলাতে হবে। যাতে করে আমরা সহজে চাঙ্গি মারতে পারি।

কবুতরের বিভিন্ন রোগের সমাধান 

কবুতরের বিভিন্ন রোগের সমাধান কবুতরের যেসব রোগ-ব্যাধি হতে পারে কবুতরের রোগ ও চিকিৎসা নানা কারনে কবুতরের রোগ ব্যাধি হয়ে থাকে। কবুতর পালনের ক্ষেত্রে রোগ ব্যাধি সবচেয়ে বড় সমস্যা। হঠাৎ দেখা যায় কবুতরের চোখে পানি জমে আছে এর জন্য আগে কবুতরের ঘর ভালোভাবে পরিষ্কার করুন। কবুতরের শ্বাস প্রশ্বাসে কোন শব্দ হয় কিনা খেয়াল করুন।

বিভিন্ন সময় দেখা যায় কবুতরের খাবার খাই না, সবুজ পায়খানা করে, সাথে একটু চুনা আছে, ঘাড় বাঁকা থাকে মাথা নিচে দিয়ে ঝিমাই, উড়তে পারেনা, একদম শুকিয়ে গেছে এসব রোগ নিয়ন্ত্রণের জন্য কবুতরকে ভিটামিন বি খাওয়ান। আশা করি ঠিক হয়ে যাবে কিন্তু কয়েকদিন হয়ে গেলে ভালো হওয়ার সম্ভবনা কম থাকে।

কবুতর সুস্থ রাখার টিপস 

কবুতর সুস্থ রাখার টিপস কবুতরকে সুস্থ রাখার জন্য কবুতরের যত্ন নেওয়া অপরিহার্য। অভিজ্ঞ খামারি দ্বারা জানা যায় যে কবুতরকে দিনে এক থেকে দুইবার খাদ্য সরবর করা উচিত। এবং প্রতিমাসে ভিটামিন বি ক্যাপসুল বা পানির সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়াতে হবে। যাতে করে কবুতর সুস্থ ও সবল থাকে। 

এছাড়াও কবুতরকে সুস্থ রাখার জন্য কবুতরের পানির পাত্র ভালোভাবে ধোয়া। এবং কবুতরের থাকার জায়গা নিয়মিত পরিষ্কার করা দ্বারা কবুতোরের রোগ বালাই কম হয়। কবুতর খোলা জায়গায় থাকতে পছন্দ করে। মুক্ত জায়গায় কবুতর পালন করে লাভজনক হওয়া যায়।

কবুতরের দৈনিক খাদ্য উপাদান

কবুতরের খাদ্যের তালিকা কবুতর পালন করতে হলেকবুতরের খাদ্যের তালিকা জানা অত্যন্ত জরুরী। ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা,খামারি কবুতরপালংকারীদের কাছ থেকে জানা যায়,কবুতরকে দিনে দুইবার অথবা একবার হলে ভালো হয় খবারপ্রদান করা উচিত।

কবুতর পালন ও চিকিৎসা কবুতরের খাদ্য উপাদান ও পরিমাণ — ভুট্টা৩৫%,গম ৩০%,ও নানা ক্ষেত্রে আমরা অনেকেই ধান খাওয়াই। এর সাথে সপ্তাহে দুইবার কবুতর ভিটামিন ওষুধ খাওয়ানো উচিত। ভিটামিন খাওয়ানোর ফলে কবুতরের ডিম বাচ্চাও সহজেই বেড়ে ওঠে। 

পুষ্টিকর খাবার এর পাশাপাশি অন্য পাত্রে প্রয়োজন মতো পরিষ্কার বিশুদ্ধ ঠান্ডাপানি রাখতে হবে। কবুতরের পানি নিয়মিত চেঞ্জ করার ফলে রোগ কম হয়ে থাকে। এছাড়া খাদ্যের মধ্যে ধান,গম, ভুট্টা,মোটর,ইত্যাদি নানা জাতীয় খাবার খাওয়ানো হয়।

কবুতরের বিভিন্ন রোগের নাম এবং ঔষধ 

  • One-Eye Colds বা এক চোখে ঠান্ডা লাগা 
  • বহিঃপরজীবী আন্তঃপরজীবী বা কৃমি ডায়রিয়া
  •  রাণিক্ষেত পিজিয়ন ম্যালেরিয়া ছত্রাক জনিত রোগ 
  • যেমন:Sour Crop-Cadida,Thrush শ্বাসতন্ত্রের রূপ
  •  যেমন:মাইক্রোপ্লাজমোসিস,অনিথোসিস ভবিষ্যতে এসব 
  • রোগ নিয়ে বিস্তারিত লেখার চেষ্টা করব।

কবুতরের  বাচ্চা বাঁচানোর উপায় 

কবুতরের বাচ্চা বাঁচানো উপায় কবুতরের বাসস্থান ও সুরক্ষা ক্ষেত্রে ভালো বাসস্থান কবুতর পালনের জন্য খুবই দরকারি। কবুতরকে ভালো রাখতে শুকনো ও ঠান্ডা স্থানে রাখা উচিত। যাতে পর্যাপ্ত পরিমাণ সূর্যের আলো ও আলো বাতাস সহজে গ্রহণ করতে পারে। মাটি থেকে কবুতরের ঘরের উচ্চতা ২০ থেকে ২৪ ফুট। 

প্রতি খোপে দুইটা কবুতর নর ও মাদা যাকে আমরা একজোড়া কবুতর বলি। প্রতি জোড়য় কবুতর দুইটা করে রাখা হয়। সাধারণত একটি ভাল জাতের কবুতর বছরে ১২জোড়া ডিম দিতে সক্ষম। ডিম পাড়ার বাসা তৈরির জন্য খরকুটা,ধানের খড়,শুকনা ঘাস,প্রতিডিম হতে মাসে আমরা দুইটা করে বাচ্চা পেয়ে থাকি।

এই বাচ্চা বের হওয়ার চার সপ্তাহেরমধ্যে খাওয়া এবং বিক্রয় উপযোগী হয়। একটি পূর্ণাঙ্গ বয়সের কবুতর ডিম দেওয়ার উপযোগী হতে ৫ থেকে ৬ মাস সময় লাগে।কবুতরের ডিম থেকে মাত্র ১৮ দিনে বাচ্চা ফুটে থাকে। আবার এই বাচ্চাই ৫ থেকে ৬ মাস পরে নিজেরাই ডিম প্রদান শুরু করে ফলে কবুতরের এক প্রজন্ম থেকে প্রাকৃতিক নিয়মে নিজে রাই বাড়াতে পারে নিজেদের সংখ্যা। 

কবুতরের বিভিন্ন জাতের দাম

বিভিন্ন জাতের কবুতরের দাম সময়ের উপর নির্ভর করে চেঞ্জ হয়ে থাকে। কবুতর রোগ ও চিকিৎসা বিস্তারিত আমরা নানা রকমের কবুতর পালন করতে পছন্দ করি। এখানে বিভিন্ন জাতের কবুতর রয়েছে রয়েছে বিভিন্ন জাতের কবুতর এর দাম বিভিন্ন রকমের। যা কবুতরের বিক্রয় বাজার উপর নির্ভর করে কবুতর দাম নির্ধারণ করা হয়। 

কবুতর রোগ ও চিকিৎসা বিস্তারিত বিভিন্ন জাতের কবুতরের মধ্য রয়েছে। আমরা অনেকেই গিরিবাজ কবুতর পালন করে থাকি যা বাজারে বেচা কেনার দিক দিয়ে কেনা হয়। বিভিন্ন জাতের কবুতর বিভিন্ন রকমের দাম। তার মধ্যে কয়েকটি কবুতর হলো গিরিবাজ, সিরাজী,লাক্কা, ঢাকাইয়া কবুতর ও বিদেশি যা কবুতর বাজার ওপর নির্ভর করে দাম যাচাই করা হয়।

দেশের বিভিন্ন জায়গায় কবুতর পাওয়া যায়। রাজশাহীর কাঁঠাখালিতে ও বিভিন্ন জায়গায় কবুতরের হাট বসে সেখান থেকে খুব সহজে আপনারা কবুতর ক্রয় এবং বিক্রয় করতে পারেন। কবুতরের দাম পরিস্থিতির উপর উপর নির্ভর করে কম বেশি হয়ে থাকে।

কবুতর ক্রয় এবং বিক্রয় করবেন কিভাবে 

কবুতর সংগ্রহের উপায় কবুতরের রোগ ও চিকিৎসা বিস্তারিত আশা করি আপনারা আমাদের এই সম্পূর্ণ আর্টিকেল টা পড়ে কবুতরের রোগ ও চিকিৎসা সম্পর্কে ধারণা পেয়েছেন। কখন কবুতরকে কি খাওয়াতে হবে এবং কবুতরের শারীরিক সুস্থতার জন্য যা প্রয়োজনীয় কাজ সেগুলো মেনে চলতে হবে।

কবুতর সংগ্রহের জন্য রোজ শুক্রবার এবং সোমবার রাজশাহীর কাটাখালিতে কবুতরের বিশাল হাট বসে। আপনারা চাইলে এখান থেকে কবুতর ক্রয় এবং বিক্রয় করতে পারবেন। এছাড়াও অনেক জায়গায় কবুতর বেচা ও কিনার প্রচলন রয়েছে। সেখান থেকে আপনারা কবুতর ক্রয় এবং বিক্রয় করতে পারেন। সেখান থেকে আপনারা কম খরচে ক্রয় করতে পারবেন।

আমার শেষ মতামত 

আশা করি আপনারা আমাদের এই আর্টিকেল পরে কবুতরের ফাঁস চাঙ্গী এবং কবুতরের নানা রোগ বালাই সুস্বাস্থ্য এবং চিকিৎসা সম্পর্কে ভালোভাবে ধারণা পেয়েছেন। কবুতরের নানা রোগ মালাই ও যাবতীয় সকল গুনাগুন সম্পর্কে ভালোভাবে বুঝছেন। এছাড়াও অনেক জায়গায় কবুতর বেচা ও কিনার প্রচলন রয়েছে সেখান থেকে আপনারা কবুতর ক্রয় এবং বিক্রয় করতে পারেন।

সেখান থেকে আপনারা কম খরচে ক্রয় করতে পারবেন। আশা করি আপনারা আমাদের এই আর্টিকেল টি পড়ে সব ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন। কবুতরের বিভিন্ন দাম ও রোগ চিকিৎসা সঠিক নিয়ম জানতে আমাদের সাথে থাকুন। দেখা হবে অন্যটি আটিকেল পরার মাধ্যমে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url
call: "+8801761060977", // Call phone number email: "odinaryit@gmail.com", // Email link: "https://www.ordinaryit.com", // Link