গর্ভবতী মায়ের সন্তান আসার ১০ টি গুণাবলী ও ক্ষতিকর দিক
গর্ভবতী মায়ের সন্তান আসার ১০ টি গুণাবলী ও ক্ষতিকর দিক, সব মায়েরা চাই তার সন্ধান নেককার হোক। কিন্তু বাবা-মায়ের কারনেই সন্তান তাদের মনের মতো হয়ে ওঠে না। সন্তান যখন মায়ের গর্ভে থাকে, তখন ভ্রুণ অবস্থা থেকেই মায়ের যাবতীয় চাল – চলন গতিবিধির বিস্তর প্রভাব সন্তানের উপর পড়ে।
একটি আদর্শ সন্তান হিসেবে গড়ে তুলতে বাবা ও মায়ের ভূমিকা অপরিসীম। একজন মা গর্ভধারণ করার পর থেকে তার কষ্ট শুরু হয়। সন্তান গর্ভে আসার পর যেসব গুণাবলী দিক,এবং যা যা ক্ষতিকার দিক রয়েছে এগুলো থেকে সব গর্ভবতী মায়েদের সচেতন হতে হবে। আজকে আমরা গর্ভবতী মায়ের গুণাবলীর দিক ও ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে আলোচনা করবো।
পেজ সূচিপত্র ঃ গর্ভবতী মায়ের সন্তান আসার ১০ টি গুণাবলী ও ক্ষতিকর দিক
- প্রতিবন্ধী সন্তান হয় গর্ভবতী মায়ের যে সব ভুলের কারণে
- গর্ভবতী মায়ের সন্তান আসার ১০ টি গুণাবলী ও ক্ষতিকর দিক
- ছেলে বাচ্চা পেটে থাকার প্রধান ১১টি লক্ষণ
- গর্ভাবস্থায় বেশি শুয়ে থাকার ক্ষতিকর প্রভাব
- গর্ভাবস্থায় কোন মাসে শিশুর সাথে কি হয় জানুন
- গর্ভাবস্থায় ৬ টি বিপদ সংকেত ও ডাক্তারের পরামর্শ
- প্রেগনেন্সিতে আপনার বাচ্চার জন্য যেসব ক্ষতিকর কাজ
- গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চার ওজন দ্রুত বৃদ্ধি পায়
- গর্ভাবস্থায় যে ৮ টি খাবার খেলে সন্তান ফর্সা হয়
- গর্ভাবস্থায় বাচ্চার ওজন বাড়াতে সেরা ১০ টি খাবার
- গর্ভাবস্থায় যে সকল খাবার খাওয়া বিপজ্জনক হয়ে থাকে
- নেক সন্তান লাভের দোয়া সমূহ
- আমাদের শেষ কথা
প্রতিবন্ধী সন্তান হয় গর্ভবতী মায়ের যেসব ভুলের কারণে
প্রতিবন্ধী সন্তান হয় গর্ভবতী মায়ের যে সব ভুলের কারনে এ বিষয়ে স্বাবলম্বন হওয়া গর্ভবতী মায়ের জন্য অত্যন্ত জরুরি। গর্ভাবস্থায় মায়ের ভুল বা অসাবধানতার কারণে, শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশ ব্যাহত হতে পারে। যা পরবর্তীতে শিশুকে প্রতিবন্ধী করে তুলতে পারে।
গর্ভাবস্থার সময় কিছু ভুল শিশুর মস্তিষ্ক ও শারীরিক অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ এবং স্নায়ুতন্ত্রের বিকাশে বাধা সৃষ্টি করে। যা সন্তানকে প্রতিবন্ধী হিসেবে গড়ে ওঠে। চলুন এবার জেনে নিই গর্ভাবস্থায় মায়ের সাধারণ ভুল এবং তাদের সম্ভাব্য প্রভাব।
- অপুষ্টিকর বা ভুল খাদ্যভাসঃ গর্ভাবস্থায় মায়ের সঠিক পুষ্টি না পেলে শিশুর স্বাভাবিক বৃদ্ধি ব্যহত হতে পারে।
- ফোলিক এসিডের ঘাটতিঃ গর্ভাবস্থায় ৩ মাসে ফোলিক এসিড না খেলে শিশুর মস্তিষ্ক ও স্নায়ুতন্ত্রের গঠন ব্যাহত হয় এবং নিউরাল টিউব ডিফেক্ট (স্পাইনা বাইফিডা) হতে পারে।
- আয়রন ও আয়োডিনের ঘাটতিঃ আয়রনের অভাবে শিশুর ব্রেইন ডেভেলপমেন্ট ঠিকমতো হয় না, ফলে মানসিক প্রতিবন্ধিতার ঝুঁকি বাড়ে। আয়োডিনের ঘাটতিও মানসিক বিকাশে বাধা দেয়।
- প্রোটিন ও ক্যালসিয়ামের অভাবঃ হাড় ও পেশির সঠিক গঠনের জন্য কঠিন ও ক্যালসিয়াম জরুরী। এদের অভাবে শিশুর হাড়ের গঠন বিকৃত হতে পারে।
- ভিটামিন ডি এর অভাবঃ ভিটামিন ডি এর অভাবে শিশুর হাড় দুর্বল হয়ে জন্ম নিতে পারে (রিকেটস)৷
গর্ভবতী মায়ের সন্তান আসার ১০ টি গুণাবলী ও ক্ষতিকত দিক
গর্ভবতী মায়ের সন্তান আসার দশটি গুণাবলী ও ক্ষতিকর দিক প্রত্যেক মায়ের জানা অত্যন্ত জরুরী। গর্ভবতী মায়ের গর্ভে সন্তান আসার পর যে দিক গুলো মায়ের সন্তানের জন্য ক্ষতিকর হয়ে পড়ে, এই কাজ থেকে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।
গর্ভ অবস্থায় ভুল ওষুধ সেবন, অনেক সময় শিশুর গঠনগত এুটি সৃষ্টি করতে পারে বিশেষ করে, ব্যথা নাশক ওষুধ, কিছু এন্টিবায়োটিক, ষ্টেরয়েড, মানসিক চাপ কমানোর ওষুধ থ্যালিডোমাইড জাতীয় ওষুধ, এটি গর্ভ অবস্থায় সেবন করলে শিশুর হাত -পা গঠনে সমস্যা হতে পারে। অনুমোদনহীন হারবাল ওষুধ কিছু ভেষজ ওষুধ গর্ভ পাতের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
ছেলে বাচ্চা পেটে থাকার প্রধান ১১ টি লক্ষণ
- ছেলে বাচ্চা থাকার ফলে গর্ভবতী মায়ের বমি বমি ভাব কম পরিমাণে অনুভব হয়।
- ছেলে বাচ্চা পেটে থাকলে গর্ভবতী মায়ের টক, ঝাল জাতীয় খাবার খেতে ভালো লাগে।
- ছেলে বাচ্চা পেটে থাকলে গর্ভবতী মায়ের ডান স্তর বেশি পরিমাণে বড় হয়ে যায় এবং ফুলে যায়।
- ছেলে বাচ্চা পেটে থাকলে গর্ভবতী মায়ের গায়ে বেশি লোম হতে দেখা যায়।
- ছেলে বাচ্চা পেটে থাকলে গর্ভবতী মায়ের চুল আগের থেকে ঝলমলে ও সুন্দর এর পরিবর্তন দেখা যায় ।
- ছেলে বাচ্চা পেটে থাকলে গর্ভবতী মায়ের পেট নিচের দিকে ফুলে থাকে।
- ছেলে বাচ্চা পেটে থাকলে গর্ভবতী মায়েরা বাম কাধে ঘুমাতে বেশি পছন্দ করে থাকে।
- ছেলে বাচ্চা পেটে থাকলে গর্ভবতী মায়েদর বাচ্চা ডান পাশে নাড়া চড়া করে থাকে।
- ছেলে বাচ্চা পেটে থাকলে গর্ভবতী মায়েদের মস্তিষ্কে চাপ কম হয় বলে ধারণা করা যায়।
- ছেলে বাচ্চা মেয়ে বাচ্চার তুলনায় আগে হয়ে থাকে ধারণা করা যায় ছেলে বাচ্চা ৮ মাস ২৪ দিন এর মধ্যে থাকে।
- ছেলে বাচ্চা পেটে থাকলে মায়ের গর্ভবস্থায় নড়া ছড়া বেশি ও লাথি মারা বুঝা যায়।
গর্ভাবস্থায় বেশি শুয়ে থাকার ক্ষতিকর প্রভাব
গর্ভবস্থায় বেশি শুয়ে থাকার ক্ষতিকর প্রভাব গর্ভাবস্থায় শুয়ে থাকলে নানা ক্ষতিকর প্রভাব ও শরীরে ক্লান্ত দেখা যায়। গর্ভাবস্থায় বেশি হয়ে থাকার ক্ষতিকর প্রভাব গুলো হলো।
- মৃত প্রসবের সম্ভাবনা বেড়ে যায়
- নরমাল ডেলিভারি না হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়
- ওজন বৃদ্ধি প্রসব জটিলতা বাড়ায়
- পেটের নিচের দিকে ব্যথা হতে পারে
- সন্তানের মাথা বড় হয়ে যায়
- নিচের দিকে নামতে পারেনা
- গ্যাস্ট্রিক ও হজম শক্তি, জনিত সমস্যা বাড়ে
এছাড়াও গর্ভাবস্থায় বেশিক্ষণ শুয়ে থাকলে সন্তানের জন্য নানা প্রভাব ফেলতে পারে। যেমন শরীল ভারী হয়ে নাড়া চাড়া করতে না পারা। যা শরীরকে ক্লান্তহীন করে তুলতে পারে। তাই গর্ভ অবস্থায় বেশিক্ষণ শুয়ে না থেকে টাইম মেনটেন করে চলুন সন্তানকে সুস্থ রাখুন।
গর্ভাবস্থায় কোন মাসে শিশুর সাথে কি হয় জানুন
গর্ভাবস্থায় কোন মাসে শিশুর সাথে কি হয় জানুন গর্ভাবস্থায় মায়ের প্রতি মাসে সন্তান আস্তে আস্তে বৃদ্ধি পেতে থাকে। কোন মাসে সন্তান এর সাথে কী হয় তা সম্পর্কে জানুন।
- প্রথম মাসেঃ বাচ্চার স্থাপন জরায়ুতে ঘটে।
- দ্বিতীয় মাসেঃ বাচ্চার হার্টবিট আসে।
- তৃতীয় মাসেঃ বাচ্চার গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ গঠিত হয়।
- চতুর্থ মাসেঃ বাচ্চার প্রজনন তন্ত্র স্পষ্ট হয়।
- পঞ্চম মাসেঃ বাচ্চা প্রথম নড়াচড়া শুরু করে।
- ষষ্ঠ মাসেঃ বাচ্চা বাইরের সব কিছু শুনতে পারে।
- সপ্তম মাসেঃ বাচ্চা মায়ের পেটে জোড়ে লাথি ঘুষি মারে।
- অষ্টম মাসেঃ বাচ্চা মায়ের গর্ভের নিচের দিকে নামতে থাকে।
- নবম মাসেঃ বাচ্চার জায়গা কম বাচ্চা কম নড়া চড়া করে। এবং ডেলিভারির জন্য প্রস্তুত হয়ে যায়।
গর্ভাবস্থায় ৬ টি বিপদ সংকেত ও ডাক্তারের পরামর্শ
গর্ভাবস্থায় ৬ টি বিষয় সংক্ষিপ্ত ডাক্তার পরামর্শ গর্ভাবস্থায় আমরা ৬ টি অবস্থানকে বিপদ জনক আবস্থা বা বিপদ সংকেত হিসেবে বলি। গর্ভাবস্থায় আপনার যদি এই ছয়টা বিষয়ের কোন একটা হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিন। অনেক সময় দেখা যায় হাসপাতালে ভর্তি থেকেও চিকিৎসা নিতে হয়। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক এই ছয়টি অবস্থা কি কি।
- প্রথম অবস্থাটি হচ্ছে মাসিকের রাস্তা দিয়ে রক্ত বের হওয়া। এটা প্রথম দ্বিতীয় তৃতীয় অবস্থায় যদি প্যাড ব্যবহার করার পরেও একদিন পরপর হয়ে থাকে তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
- দ্বিতীয় অবস্থাটি হচ্ছে হঠাৎ ঝাপসা দেখা এবং অতিরিক্ত মাথা ব্যথা করা। অতিরিক্ত মাথা ব্যথা এট একটি কিচু নীর যা মা ও সন্তানের জন্য খুবই ঝুঁকিপূর্ণ।
- তৃতীয় অবস্থানটি হচ্ছে হাতে এবং পায়ের কোনাই পানি আশা এটা অন্তত দেখা যায় পোশাবের রাস্তা দিয়ে প্রোটিন বেরিয়ে যায় তাহলে হাতেও পায়ে পানি আসে।
- চার নাম্বার হচ্ছে অতিরিক্ত শ্বাসকষ্ট হঠাৎ একটি রোগের মধ্যে যদি শ্বাসকষ্ট দেখা যায় তাহলে এটা কিন্তু একটা বিপজ্জনক অবস্থা। এটি হলে অবশ্যই আপনাকে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
- পঞ্চম নাম্বার হচ্ছে কাপনী দিয়ে জ্বর আসা হঠাৎ যদি দেখা যায় কাঁপুনিতে জ্বর আসা তাহলে এটা কিন্তু প্রসবের রাস্তায় ইনফেকশনের লক্ষণ দেখা দেয় । প্রসাবের রাস্তায় ইনফেকশন হলে তলপেটে ব্যথা এবং কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসে। এজন্য ডাক্তার পরামর্শ নেয়া উচিত।
- ছয় নাম্বার হচ্ছে খিচুনি এটা কি মারাত্মক অবস্থা। কোন রোগির যদি এ অবস্থায় দেখা যায় তাহলে এটা একটি মারাত্মক অবস্থা তাতে অতি শীঘ্রই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
প্রেগনেন্সিতে আপনার বাচ্চার জন্য যেসব ক্ষতিকর কাজ
অতিরিক্ত ট্রাভেলিং করাঃ প্রেগনেন্সি সময় প্রচুর পরিমানে রেস্টের প্রয়োজন হয়। ট্রাভেলিং ও অতিরিক্ত জার্নি আপনার ও আপনার বাচ্চার জন্য খুবই ক্ষতিকর দিক।
- কোন ভারী জিনিস তোলা বা সিড়ি দিয়ে বেশি উঠানামা করাঃ ভারি জিনিস তোলা বা অতিরিক্ত সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করলে আপনার মিসক্যারেজ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
- হিমোগ্লোবিন কমে যাবে এমন খাবার খাবেন নাঃ হিমোগ্লোবিন কমে যাবে এমন খাবার যেমন, কাঁচা কলা, ডুমুর, এগুলো এড়িয়ে চলাই ভালো। হিমোগ্লোবিন কমে গেলে ডেলিভারির সময় মায়ের জন্য অনেক ক্ষতিকর।
- ডাক্তার বারবার পরিবর্তন করবেন নাঃ অনেকেই আছে যারা কিনা বারবার ডাক্তার পরিবর্তন করে থাকে। যতবার ডাক্তার পরিবর্তন করবেন ততবার চিকিৎসা ও পরিবর্তন হবে। এমনকি চেষ্টা করুন একজনের কাছেই রিপোর্ট দেখানো যাতে চিকিৎসা ভালো হবে।
- অতিরিক্ত ওজন বেড়ে যাওয়াঃ প্রেগনেন্সিতে অতিরিক্ত ওজন বেড়ে যাওয়া যা বাচ্চার জন্য ক্ষতি হতে পারে। আবার খুব বেশি ওজন কমে যাওয়াও ক্ষতিকর।এজন্য গর্ভাবস্থায় এ ওজন মেনন্টেন করে চলতে হবে। এজন্য একটি মায়ের প্রোপারলও ডায়েট প্রয়োজন।
- গর্ভবত অবস্থায় একটি মায়ের অতিরিক্ত মানুসিক চিন্তা করা উচিত নয়ঃ অতিরিক্ত চিন্তা করলে প্রেসার হাই হয়ে যায়। এবং হাই সুগারও হতে পারে যা হবু মায়ের জন্য খুব খারাপ। যা বিপদজনক হয়ে উঠতে পারে ।
- প্রচুর পরিমাণে টেকনিক্যাল জিনিস ব্যবহার করাঃ যেমন স্মার্টফোন, ওয়াইফাই, টেলিভিশন, ইন্টারনেট এখনকার কমনলি সবাই ব্যবহার করে থাকে যা একটা গর্ভবতী মায়ের জন্য ক্ষতিকর। এগুলো থেকে এড়িয়ে চলাতে হবে। কারণ এতে প্রচুর পনির পরিমাণে রেডিয়েশন থাকে যা একজন গর্ভবতী মায়ের জন্য খুবই ক্ষতিকর প্রভাব আনতে পারে।
- বাড়ির যে কোন কাজঃ বাড়িতে কোন কাজ করার ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। গর্ভাবস্থায় ঝাড়ুদার সময় লম্বা ঝাড়ু ইউজ করা এবং কিছু মোছার ক্ষেত্রে বসে সাবধানতার সাথে কাজ করা উচিত। এগুলোর দিকে খেয়াল রাখতে হবে। প্রয়োজনে বাসায় কাজের লোক রাখতে হবে।
গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চার ওজন দ্রুত বৃদ্ধি পায়
গর্ভব্যবস্থা কি খেলে বাচ্চার ওজন দ্রুত বৃদ্ধি পায় এ সম্পর্কিত খাওয়ার এর তালিকা নিচে দেওয়া হলো।প্রেগনেন্সিতে অনেক বাচ্চার ওজন বেশি এবং কম হয়ে থাকে। এজন্য গর্ভবতী অবস্থায় মেয়েরা নিচের তালিকা অনুযায়ী খাবার খাওয়া উচিত।
- ডাল
- ছোলা
- দুধ ও ডিম
- খেজুর
- মুরগির মাংস
- বিভিন্ন ধরনের বাদাম
- কলা
- মিষ্টি আলু
- কমলা
- নুডলস
- ঢেঁড়স
গর্ভাবস্থায় যে ৮ টি খাবার খেলে সন্তান ফর্সা হয়
গর্ভাবস্থায় যে ৮ টি খাবার খেলে সন্তান ফর্সা হয় বিশেষ্যদের মতে বাচ্চার ত্বকের রং কেমন হবে তা খাদ্য গ্রহণের ওপর নির্ভর করে না। তবে প্রচলিত মতে, গর্ভাবস্থায় যে খাবার খাওয়া হয় তা বাচ্চার বর্ণের ওপর প্রভাব ফেলে।
- (নারকেল) প্রচলিত আছে যে নারকেল খেলে বাচ্চার রং ফর্সা হতে সাহায্য করে।
- (কেশর বা জাফরান) গর্ভের বাচ্চার ত্বক ফর্সা করতে সাহায্য করে।
- (দুধ) বাচ্চার গায়ের রং ফর্সা করে এবং ভ্রনের সুগঠনের জন্য প্রয়োজন।
- (বাদাম) আপনি যদি ফর্সা বাচ্চা চান তাহলে প্রতিদিন শুকনো বা ভেজানো কাঠবাদাম Almond খান।
- (ডিম) বাচ্চার রং ফর্সার জন্য শুধু চতুর্থ মাস থেকে ষষ্ঠ মাসের মধ্যে ডিমের সাদা অংশ খাওয়া উচিত।
- (ঘি) প্রচলিত আছে ভ্রনের বর্ণ উজ্জ্বল করতে সহায়ক।
- (মৌরি) মৌরি ভেজানো পানি ত্বকের বর্ণ উজ্জল করতে খুবই কার্যকরী।
- (কমলা লেবু) গর্ভাবস্থায় কমলা লেবু অবশ্যই খাওয়া উচিত, এটি ভিটামিন সি, এই ভর্তি যা বাড়তি বাচ্চার জন্য খুবই ভালো এবং ত্বক উজ্জ্বল করতে সহায়ক।
গর্ভাবস্থায় বাচ্চার ওজন বাড়াতে সেরা ১০ টি খাবার
গর্ভাবস্থায় বাচ্চার ওজন বাড়াতে সেরা ১০ টি খাবার প্রেগনেন্সিতে সুস্থ সবল থাকার জন্য প্রতিটি মায়ের সময়মত খাদ্য গ্রহণ ও টাইম মেনটেন করে চলতে হবে। পুষ্টিকর খাদ্য উপাদান গর্ভাবস্থার মায়ের ও সন্তানের সুস্থ সবল রাখতে সাহায্য করে। গর্ভাবস্থায় বাচ্চার ওজন বাড়াতে সেরা ১০ টি খাবার হলো।
- দুধ
- ডিম
- দই
- ছোলা
- বাদাম
- মটরশুটি
- মিষ্টি আলু
- ঢেঁড়স
- মসুর ডাল
- মুরগির মাংস
গর্ভাবস্থায় যে সকল খাবার খাওয়া বিপজ্জনক হয়ে থাকে
গর্ভাবস্থায় যে সকল খাবার খাওয়া বিপজ্জনক হয়ে থাকে সে সকল খাদ্য থেকে বিরত থাকতে হবে। গর্ভবতী মায়ের সুস্থ সবল খাদ্য গ্রহণ করা উচিত। যাতে নিজে সুস্থ থাকে এবং সন্তান এর কোন খাদ্যের ঘাটতির অভাব না থাকে।
এজন্য প্রতিটি মায়ের উচিত গর্ভাবস্থায় সুস্থ সবল খাবার খাওয়া এবং সন্তানকে সুস্থ সবল রাখা। এবং গর্ভাবস্থায় যে সকল খাবার খাওয়া বিপদজনক হয়ে থাকে সে সকল খাদ্য থেকে বিরত থাকা। গর্ভবতী মায়ের জন্য বিপদজনক হয়ে দাঁড়াবে এমন কিছু খাবার এর তালিকা নিচে দেওয়া হলো।
- কাঁচা পেঁপে
- আনারস
- বাসি -খাবার
- অতিরিক্ত চা -কফি
- ভাজাপোড়া খাবার
- কোল্ড ড্রিংকস
- বাইরের ও স্বাস্থ্যকর খাবার
- আঙ্গুর
- ফ্রিজের সংরক্ষিত খাবার
এসব খাবার গুলো গর্ভবতী মায়ের জন্য এবং সন্তানের জন্য বিপদজনক হয়ে থাকে। তাই এসব ধরনের খাবার থেকে বিরত থাকা পুষ্টিকর খাবার খাওয়া। সুস্থ সবল রাখতে বাচ্চা, নিজে সতর্কিত হন এবং বাচ্চাকে সুস্থ রাখুন।
নেক সন্তান লাভের দোয়া
অনেক সন্তান লাভের দোয়া একজন সৎ মা কে না চায়। পৃথিবীর সব মানুষ চায় তার সন্তান নেককার হোক। সৎ চরিত্রবান হোক। কিছু বাবা-মায়ের কারণে সন্তান তাদের মনের মত হয়ে ও ঠেনা।সন্তান যখন মায়ের গর্ভে থাকে, তখন ভ্রুণ অবস্থা থেকে মায়ের যাবতীয় চাল-চলন ও গতি বিধির বিস্তর প্রভাব সন্তানের উপর পড়ে।
নেক সন্তান লাভের দোয়া হলো - রাব্বি হাবলি মিনাস্ সলিহিন। অর্থ ; হে আমার প্রতিপালক। আপনি আমাকে সৎ কর্মশীল পুত্র সন্তান দান করুন। নিশ্চয়ই আপনি প্রার্থনা শ্রবণকারী। (সূরা : আস- সাফফাত ১০০)।
নেক স্ত্রী লাভের দোয়া : রাব্বি হাবলি মিনাল সলিহিন। অর্থ, মহান আল্লাহ তাওআলা আমাকে একটা নেক্কার স্ত্রী দান করুন।
আমাদের শেষ কথা
একজন মা গর্ভধারণ করার পর থেকে তার কষ্ট শুরু হয়। ভ্রণ অবস্থা থেকেই অবর্ণনীয় কষ্ট। কোরআনে আল্লাহ বলেন, তার মাথা তাকে কষ্টের পর কষ্ট করে গর্ভে ধারণ করেছে। (সূরা: লুকমান ১৪)।
পার্বতী মায়ের সন্তান আসার ১০ টি গুণাবলী ও ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে আশা করি আপনারা আমাদের আর্টিকেলটি পরে বুঝতে পেরেছেন। তাই গর্ভবতী অবস্থায় সর্তকতা গুণাবলী মেনে চলুন সুস্থ থাকুন। এমন সম্পর্কিত পোস্ট পেতে আর্টিকেল জুড়ে আমাদের সঙ্গে থাকুন। আশা করি বুঝতে পেরেছেন আবার দেখা হবে অন্য একটা আর্টিকেল পড়ার মাধ্যমে।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url