OrdinaryITPostAd

কবুতর হাতে ধরে নর মাদি কবুতর চেনার সেরা কৌশল

কবুতর হাতে ধরে নর মাদি চেনার সহজ কৌশল কবুতর একটি সৌখিন প্রাণী। যা অনেকেই আমরা পালন করে থাকি আর সবচেয়ে বড় বিষয় হলো কবুতর পালনে কোনটা নর কোনটা মাদি এ বিষয়ের উপর লক্ষ্য রাখা। আজকে আমরা এই পোস্টে কবুতর এর নর মাদি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো।

হাতে ধরে কবুতর নর মাদি চেনার উপায় বাচ্চা কবুতর এবং বয়স্ক কবুতর চেনার সহজ উপায় হলো তার বয়স। এবং মাদি কবুতরের গলা চিকন ও নর কবুতরের গলা বেশ মোটা থাকে তা থেকে অনুমান করা যায় কোনটা কোন কবুতর । এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা কবুতর চেনার সম্পর্কে বিস্তারিত জানাবো। 

পেজ সূচিপত্রঃ কবুতর হাতে ধরে নর মাদি কবুতর চেনার সেরা কৌশল 

কবুতর হাতে ধরে নর মাদি কবুতর চেনার সহজ কৌশল

কবুতর হাতে ধরে নর মাদি কবুতর চেনার সহজ কৌশল কবুতরকে সৌখিন প্রাণী বলা হয়। নর মাদি কবুতর চেনার সহজ কৌশল হলো এক কথায় মাদি কবুতর নর কবুতর থেকে ছোট হয়। মাদি কবুতরের গলা চিকন এবং নর কবুতরের গলা লম্বা থাকে। 

অপরদিকে কবুতরকে সুন্দর করে মাথা হাতির নিচে রেখে উল্টিয়ে রাখা হলে যে কবুতর টি হাতে শুয়ে থাকে তাকে মাদি কবুতর বা মহিলা কবুতর বলা হয়। অপরদিকে নর কবুতর বা পুরুষ কবুতর হাতে হাতে থেকে উঠার চেষ্টা করে বা শুয়ে না থাকে তাহলে তাকে নর কবুতর বলা হয়।

কবুতরের রোগ ও চিকিৎসা বিস্তারিত 

কবুতরের রোগ ও চিকিৎসা অত্যন্ত জরুরী। কবুতরের  নানা কারনে রোগ ব্যাধি হয়ে থাকে। কবুতর পালনের কবুতরের যত্ন নেওয়া অত্যন্ত অপরিহার্য। কবুতরের পুষ্টি উপাদানের ঘাটতি অভাব ও নিয়মিত সুচিকিৎসা না নেওয়ার কারণে কবুতরের নানা রোগ ব্যাধি হয়ে থাকে।

কবুতরের চিকিৎসা ও সুস্থ রাখার জন্য কবুতোর কে ভিটামিন সি ক্যাপসুল খাওয়ান। অনেক সময় দেখা যায় কবুতর  নানা সময় নানা ধরনের রোগে আক্রান্ত হয় এগুলোর দিকে খেয়াল রাখতে হবে। কবুতরের সর্দি হলে ডক্সিক্যাপ ক্যাপসুল খাওয়ান। 

কবুতরের রোগ হওয়ার কারণ 

কবুতরের রোগ হওয়ার কারণ কবুতরের প্রতি অযত্ন। কবুতর পালন করে কবুতর যত্ন না নিলে কবুতরের রোগ বালাই বেশি হয়ে থাকে যার কারণে কবুতর মারা যেতে পারে। কবুতরকে সঠিক মতো খাবার না দেওয়া, নিয়মিত ভিটামিন না খাওয়ানোর ফলে কবুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে। 

কবুতরের রোগ হওয়ার কারণ কবুতরের রোগ বালাই যেন কম হয় এদিকে খেয়াল রাখতে হবে। কবুতর বাচ্চা প্রদান করার পর কবুতরকে ভিটামিন সি খাওয়ানো উচিত। কবুতরের পানির পাত্র নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে। কবুতরের নিয়মিত চেঞ্জ করতে হবে যাতে না করে কবুতরের পায়খানা থেকে ইনফেকশন হয়ে কবুতরের রোগ সৃষ্টি হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। 

কবুতরের বাসস্থান ও সুরক্ষা 

কবুতরের বাসস্থান ও সুরক্ষা কবুতর পালনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কবুতরের বাসস্থান। কবুতর পালনে কবুতরের থাকার জায়গা ভালো হলে কবুতরের রোগ বালাই কম হয়ে থাকে। কবুতরের বাসস্থান ও সুরক্ষা ক্ষেত্রে ভালো বাসস্থান কবুতর পালনের জন্য খুবই দরকারি। 

কবুতরকে ভালো রাখতে কবুতর শুকনো ও ঠান্ডায় স্থানে রাখা উচিত। কবুতর হাতে ধরে নর মাদি কবুতর চেনার কৌশল কবুতরের বাসস্থান শুকনো ঠান্ডা স্থানে রাখার ফলে পর্যাপ্ত পরিমাণ সূর্যের আলো ও বাতাস সহজে গ্রহণ করতে পারে। মাটি থেকে কবুতরের ঘরের উচ্চতা ২০ থেকে ২৪ ফুট উপরে রাখতে হবে। 

প্রতি খোপে দুইটা কবুতর  নর ও মাদি যাকে আমরা এক জোড়া কবুতর বলি। অতি জোরায় কবুতর দুইটা করে রাখা হয়। সাধারণ একটি ভালো জাতের কবুতর বছরে ১২ জোড়া ডিম দিতে সক্ষম। ডিম পাড়ার বাসা তৈরীর জন্য খড়কুটা, ধানের খড়,শুকনা ঘাস এগুলোর প্রয়োজন হয়। প্রতি ডিম হতে মাসে আমরা দুইটা করে বাচ্চা পেয়ে থাকি। 

কবুতরের ফাঁস চাঙ্গি বানানোর সহজ উপায় 

কবুতরের ফাঁস চাঙ্গি বানানো সহজ উপায় আমরা অনেকেই কবুতর পালন করে থাকি কিন্তু ফাঁস চাঙ্গী  বানাতে আমরা অদক্ষ। আজকে আমরা ফাঁস চাঙ্গি  বানানোর  কিছু নিয়ম সম্পর্কে আলোচনা করব। 
কবুতরের চাঙ্গি বানানোর জন্য যেগুলোর প্রয়োজন হবেতা হলো, কট এর সুতা, কট,নেটের জাল ,গোল বালা,বাশঁ ও বাতা। 

এগুলো দ্বারা একটি ফাস চাঙ্গি বানানো সম্ভব হবে। ফাঁশ চাঙ্গি বানাতে হলে যা যা জিনিসপত্র প্রয়োজন সেগুলো যোগাড় করার পর, একটি আয়তাকার মাচান তৈরি করতে হবে। মাচানের দুই প্রান্তে দুটি বালা দারা  বানতে হবে। এরপর দুইটা কমছি দ্বারা মাচানে তুই প্রান্তে সমানভাবে দুই প্রান্ত বানতে হবে। অবশ্যই কমচিতে সম- পরিমাণ নেট পড়াতে হবে।

তারপর মাচানের মধামধি বেধে কমচি সুতা দ্বারা বেধে নেটগুলো সমানভাবে সেলাই করে দিতে হবে। সেলাই করা হয়ে গেলে কমচির দুই পাশে দুইটা লম্বা কমচি দ্বারা বেধে সুতা দিয়ে বালার ভিতরে প্রবেশ করায় সমানভাবে ভাগ তৈরি করতে হবে। পরিশেষে চাঙ্গি বানানো হয়ে গেলে একটি গোটা বাস এর উপর স্থাপন করে দিতে হবে। 

কবুতর ক্রয় এবং বিক্রয় 

কবিতার ক্রয় এবং বিক্রয় করতে আমরা সকলেই আগ্রহী। কবুতর সংগ্রহের জন্য রোজ শুক্রবার এবং সোমবার রাজশাহীর কাটাখালি তে কবুতরের বিশাল হাট বসে। এখান থেকে আপনারা কবুতর অতি সহজেই ক্রয় এবং বিক্রয় করতে পারবেন। এছাড়া অনেক জায়গায় কবিতরের বেচা কেনার প্রচলন রয়েছে, সেখান থেকে আপনারা কবুতর ক্রয় এবং বিক্রয় করতে পারেন।

কবুতর হাতে ধরে নর মাদি কবুতর চেনার সহজ কৌশল। ক্রয় এবং বিক্রয়ের জন্য শনিবার ও মঙ্গলবার রাজশাহী বালেশ্বর কবুতরের হাট  বসে থাকে। আপনারা ইচ্ছা করলে এখান থেকেও খুব সহজে কবুতর বেচা কেনা করতে পারেন। আশা করি আপনারা এখান থেকে খুব সহজেই কবুতর ক্রয় করতে পারবেন।

কবুতরের দৈনিক খাদ্য উপাদান 

কবুতরের দৈনিক খাদ্য উপাদান কবুতর পালনে কবুতরের খাদ্য অপরিহার্য। কবুতরকে সাধারণত যে সকল খাদ্য গ্রহণ করানো হয় সেগুলো হলো, ধান, গম ভুট্টা, মসুর, সরিশা,হেটকা জাতীয় খাবার কবুতর খুব বেশি পছন্দ করে থাকে। কবুতরকে সরিষা এবং হেটকা ও গম খাওয়ালে কবুতরের বাচ্চা তাড়াতাড়ি বাড়ে। 

কবুতর পালন ও চিকিৎসা কবুতরের খাদ্য উপাদান ও পরিমাপ - ভুট্টা ৩৫ %,গম ৩০% ও নানা ক্ষেত্রে আমরা অনেকেই ধান খাওয়াই। এর সাথে সপ্তাহে দুইবার কবুতর ভিটামিন ওষুধ খাওয়ানো উচিত। ভিটামিন খাওয়ানোর ফলে কবুতরের ডিম ও বাচ্চা সহজে বেড়ে ওঠে। এজন্য বাচ্চা আলা কবুতরকে সপ্তাহে দুইবার ভিটামিন ক্যাপসুল খাওয়ানো উচিত। 

পুষ্টিকর খাবারের পাশাপাশি অন্য পাত্রে প্রয়োজন মতো পরিষ্কার বিশুদ্ধ ঠান্ডা পানি রাখতে হবে। পাত্রে পানি দেওয়ার পূর্বে ভালোভাবে পাত্র পরিষ্কার করে নিতে হবে যাতে কোন ময়লা আবর্জনা না থাকে। কবুতরের পানি পাত্রের নিয়মিত চেঞ্জ করার ফলে রোগ বালাই কম হয়ে থাকে। 

কবুতরের বাচ্চা বাঁচানোর উপায় 

কুবুতরের বাচ্চা বাঁচানোর উপায় কবুতর প্রতিমাসে প্রায় এক জোড়া বাচ্চা দিয়ে থাকে। যা আমরা দুইটি ডিমের মাধ্যমে পেয়ে থাকি। কবুতরের সুরক্ষা ও বাসস্থানের ক্ষেত্রে ভালো বাসস্থান কবুতর পালনের জন্য খুবই দরকারি। বাচ্চা ওয়ালা কবুতর দিনে দুইবার খাওয়ানো উচিত যাতে বাচ্চা বড় হতে সক্ষম হয়। 

এই বাচ্চা বের হওয়ার চার সপ্তাহের মধ্যে খাওয়া এবং বিক্রয়ের উপযোগী হয়। কবুতরের ডিম থেকে মাত্র ১৮  দিনে বাচ্চা ফুটে থাকে। এবার এই বাচ্চাই ৫ থেকে ৬ মাস পরে নিজেরাই ডিম প্রধান শুরু করে। হলে কবুতরের প্রজন্ম থেকে প্রাকৃতিক নিয়মে নিজেরাই বাড়াতে পারে নিজেদের সংখ্যা। 

শীতকালে কবুতর পালন

শীতকালে কবুতর পালন গরমের চেয়ে শীতকালে কবুতর বেশি আক্রান্ত হয়ে থাকে। এইজন্য কবুতর কে সুস্থ রাখার জন্য কবুতরের জায়গা রোদালো অবস্থায় রাখতে হবে। যাতে সূর্যের আলো প্রবেশ করতে পারে। এবং শীতকালে কবুতরের ওষুধের কোচ ঠিকভাবে করাতে হবে। 

কবুতরকে নির্দিষ্ট সময় টিকা ও কৃমি  করাতে হবে। এবং শীতে কবুতরের খাবারে প্রোটিন বেশি দিতে হবে, খামার বেশি নোংরা রাখা যাবে না। কবুতরের বাচ্চার ড্রপিং ঘনঘন পরিষ্কার করতে হবে। খাবার ও পানি যেন খুব ঠান্ডা না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। 

খামারে তাপমাত্রা ঠিক রাখতে হবে। শীতে কবুতর ক্রয় থেকে বিরত থাকতে হবে। শীতকালে কবুতরকে সুস্থ রাখতে ২০০ থেকে ৩০০ ওয়ার্ডের বাল্ব ব্যবহার করতে পারেন। বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলেও শীতকালে কবুতর ভালো ভাবে ডাকতে হবে যাতে ঠান্ডা প্রতিরোধ করা যায়। 

আমাদের শেষ কথা -কবুতর সংগ্রহের উপায়

কবুতর হাত ধরে নর মাদি কবুতর চেনার সেরা কৌশল  কবুতর সংগ্রহের উপায় সম্পর্কে আপনাদের ইতিমধ্যে জানানো হয়েছে, আশা করি আপনারা আমাদের আর্টিকেলটি পড়ে কবুতর সংগ্রহের উপায় সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে পেরেছেন। 

এছাড়া অনেক জায়গায় কবুতর বেচা কেনার প্রচলন  রয়েছে। সেখান থেকে আপনারা খুব সহজে কবুতর ক্রয় এবং বিক্রয় করতে পারেন। আশা করি আপনারা আমাদের এই আর্টিকেলটি পড়ে সব ভালো ভাবে বুঝতে পেরেছেন। কবুতর হাতে ধরে নর মাদি চেনার সেরা কৌশল সম্পর্কে আপনারা ধারণা পেয়েছেন। এমন জাতীয় পোস্ট পেতে আর্টিকেল জুড়ে আমাদের সঙ্গে থাকুন। দেখা হবে আবার অন্য একটি আর্টিকেল পড়ার মাধ্যমে। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url
call: "+8801761060977", // Call phone number email: "odinaryit@gmail.com", // Email link: "https://www.ordinaryit.com", // Link